রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
বিয়ের একরাত পরেই রোড দুর্ঘটনায় প্রানগেল পুলিশ স্বামীর
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর জলঢাকায় পুলিশের এস আই ডিএসবিতে কর্মরত মোঃ জহুরুল ইসলাম (৩৮)ও তারই বন্ধু মোনাইম ইসলাম (সুজন)(৪০) নামে দুই জন যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর পিপিএম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার(৩অক্টোবর)রাত ৯ টার দিকে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সরকারী কলেজ তেলপাম্প নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জহুরুল ইসলাম দিনাজপুর ফুলবাড়ি উপজেলার লক্ষ্মীপুর জয়নগর গ্রামের আফফার উদ্দিনে ছেলে। অপর নিহত সুজন আলী খয়েরবাড়ী মির্জাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ছেলে। তারা একে অপরের বন্ধু।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা নীলফামারীর জলঢাকা থানায় ডিএসবিতে এস আই পদে কর্মরত ছিলেন। বিরামপুর থানা সুত্রে জানা গেছে ৩০ সেপ্টেম্বর সাতদিনের নৈমিত্তিক ছুটিতে তিনি বাড়িতে যান। গত মঙ্গলবার জি আর ৭৭/১৯ মামলার সাক্ষ্য দিতে দ্বায়রা জজ আদালত রাজশাহীতে যান।সেখান থেকে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে বিরামপুর কলেজ বাজার তেলপাম্প দিনাজপুর ঘোরাঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কের
উপর রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেরে আসা নওগাঁ গামি ওমর ফারুক পরিবহনের সাথে পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। আরো
জানাযায় (২ অক্টোবর) সোমবার ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের বানহারা
গ্রামের রুমা আক্তারের সাথে তার বিয়ে হয়। দুই পরিবার চলছে এখন শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায় সংঘর্ষে এসআই জহুরুল ও মোনাইম ইসলাম সুজন গুরু আহত হন।সংবাদ পেয়ে বিরামপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনে সহায়তায় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেল সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন রাজশাহী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এই অফিসার নিহত হয়েছেন। তার এ ভাবে চলে যাওয়ায় আমরা
গভীর ভাবে মর্মাহত।